ঔষ্ণীক ঘোষ সোম-এর কবিতা
গন্তব্য
দেওয়াল বেয়ে একটা পিঁপড়ে উঠছে
যেমন এই জীবন সরণি ধরে চলেছি আমি।
তফাতটা শুধু একটাই―
ও একটু পরেই গন্তব্যে চলে যাবে,
আমারই কোথাও পৌঁছানো হবে না।
বিসর্জন
ভোরের আকাশে তারাদের বিসর্জন দেখতে দেখতে―
দর্পণে কেঁপে ওঠা প্রতিমার মুখ মনে পড়ে যায়।
নহবতে বিদায়ী সুর বাজে, ক্লান্ত শহর, ঘুমের ওপারে
কাক ডাকে, কেঁপে ওঠে জল
এখন ওর যাওয়ার সময়...
প্রতিচ্ছবি
এই ঘরে কোনো আলো নেই
তাই আয়নায় নিজেকে দেখিনি কোনোদিন।
যা দেখেছি, যা ভেবেছি
সবই মনগড়া―
কল্পনা।
নিজেকে যেমন দেখতে চেয়েছি
তেমনি তেমনি কল্পনার ছবি
ফুটে উঠেছে মনের আয়নায়।
সেই নিয়েই কেটে গেল
সারাজীবন।
তারপর,
বেলা শেষের রোদ্দুর,
হঠাৎ
আমার এই অন্ধ-ঘরে কালনাগিনীর মতো এসে―
জ্বালিয়ে দিল আমার সব কিছু।
আর আমি এই জ্বলে যাওয়া চোখ দিয়ে
প্রথমবার আয়নার দিকে তাকালাম।
আয়না টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে গেল।
বাহ! খুব সুন্দর
ReplyDeleteবাহ! খুব সুন্দর
ReplyDeleteবাহ! খুব সুন্দর
ReplyDelete