অনিকেশ দাশগুপ্ত’র কবিতা
স্নান
জল বয়ে যায় কলঘরের নাগাল না পেয়ে
একটা উষ্ণ স্নানে দুপুর কেটে যায়
সাবানের বুদবুদ ঘেরা
বাতাসগুলি বাসা বাঁধে
আমাদেরই শ্রান্ত
শরীরে...
আয়তাকার কলঘরে
কবেকার মহাশূন্যে
জল জমে, পাইপলাইন
বোজাতে বোজাতে
আমাদের শ্যাওলা ত্বকে
মাত্র কিছুক্ষণ
ফুটেছিল আলোর ম্যাপ
বাতাসের বল নিয়ে
বিস্ময়কর স্নানক্রীড়ার পর
পৃথিবীময় নিরাময়ের
ঘোর লেগে থাকে
দ্রষ্টা
আমার প্রেমিকা সমস্ত
ভোরে একটা রোদেলা দিনের বায়না করে
তুষারপাতের বিকেলে
বরফের স্তূপ সরিয়ে
হঠাৎ কালো অসাধারণ
রাস্তা
অনুসরণ করতে করতে
বাগানের ধারে
এক উষ্ণ লম্বা টুপি
খুলে রাখে
ভিড়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হলুদ― চন্দন যুবতী
হাতব্যাগ বলতে মনে
পড়ে তুলো,পশম ও দেবীর বিচক্ষণ খড়্গ
জিভ কেটে দেখানো
রঙিন রক্তাল্পতা
ভীষণ জরির ময়দানে
নুন ও কাঁটা গাছের চেয়েও সুদূর
নিরালম্ব প্রেমিকা
আমার
ঠিক করে নিতে পারে
একটা হিংস্র নিয়মিত
শৃঙ্খলা
একটা রোদ-সাদা বিছানায়
কতখানি তাচ্ছিল্যের হাসি রাখবে
আগুন
আগুনের একটা তল থাকে
আগুনের তলে স্মৃতিদের
সমাপতন হয়
আগুনের কাছে ভাষা
নেই,
আগুনের কাজ
সমাজের ভাষার মতো
আপেক্ষিক;
উৎসর্গের আগুন
ব্যাভিচারের আগুন
আগুন ফুরিয়ে যাওয়ার
আগে
দপ ক’রে জ্বলে ওঠা
আগুন...
জীবনের গন্ধ মাখা
ব্যক্তিগত একটা স্তর থেকে
সূর্যাস্তের আগুন
রং, সিংহের আগুন রং
বিপরীত দিকে হেঁটে
যায়
অসাধারণ অসাধারণ
ReplyDelete