পার্থ সারথি চক্রবর্তী’র কবিতা
জয়গান
কিসের পেছনে বারবার ছুটে যাই, কোন ধ্রুবতারা?
নাকি সবটাই মনের ভুল, অধরা আলেয়া!
মনে মনে গড়েছিলাম এক কাঁচের ঘর
ভেঙে গেল এক আলতো টোকাতেই― সহসা!
ফেলে আসা পথ আজো মনে উঁকি দেয়,
শৈশব ঘেরা সেই সবুজ গ্রামের জীবনরেখা।
বুকের মাঝে শুয়ে থাকে রাশিরাশি গাছ
এক নরম ছায়ার মায়াবী পেলবতায়।
মায়াঘেরা সেই মায়ের আঁচলে বাঁধা ছিল
যে সুর আর গান, তা আজো অম্লান;
শিয়রে শাস্তি জেনেও সন্ধের আকাশে ভুল;
কানফাটা চিৎকারের পাশে গিরিখাতের শূন্যতা।
দেহময় এক অস্ফুট বাজনা, মায়া জাগায় মনে
কাঙাল হতেও রাজি, শুধু কেড়ে নাও উন্মত্ততা।
বারবার তাও কেঁপে কেঁপে ওঠে ঢেউয়ের শিহরণ
জানি হবে ক্ষয়, তবু নামাবলী গায়ে তুলি।
এপিটাফের মতো সাদা ফুলের প্রত্যাশায় থাকি
কখনো কদাচিৎ মৃদু গন্ধও অনুভব করি,
ইট, বালি, সুরকি ফেলে সেই কাঁচ খুঁজি
ভঙ্গুর সেই কাঁচে শিসমহল গড়ে তুলি।
দিন-রাত, সকাল-সন্ধ্যা যেন একসাথে মাখামাখি
আঘাতের পর আঘাত পেয়েও, তারই কাছে মলম খুঁজি
যে রাতে মায়াবী চাঁদ নিয়ে যায় সব বিষাদ
আমার সঙ্গে শুধু জেগে থাকে একফালি চাঁদ।
ঝড় উঠে উঠুক, চেয়েছি শুধু কয়েক ফোঁটা জল
তার সাথেই জল মিশিয়ে কাটাব জীবন,
স্মৃতি থেকে তুলে আনা স্তব্ধতাকে অস্ত্র ক'রে
মুখরিত হই আবার শারদ জীবনের জয়গানে।
No comments:
Post a Comment