অনিন্দ্য রায়-এর কবিতা
পুরাণভূম
ȫ
আদিগন্ত ধু ধু
শুধু
উপকূলে ভেসে-আসা গুঁড়ি দুটি— একটি অ্যাশগাছের, পোক্ত; আরেকটি নমনীয়, এলমগাছের। বালিতে
তাদের পুঁতে শ্বাস দিয়েছেন আর আকৃতি, ইচ্ছা, চলাচল দিয়ে বানালেন যথাক্রমে পুরুষ ও নারী
একটি
অ্যাশগাছের, পোক্ত, কাঠে হাতল বানানো হয়
আরেকটি
নমনীয়, এলমগাছের, কাঠামোর উপযুক্ত
যথাক্রমে
পুরুষ ও নারী
ȫ
জোড়া
নক্ষত্র ওই যে, ওই চোখ
ঈগল-সজ্জার
কথা মনে পড়ে? প্রচণ্ড আগুন, পালকের ছাই
আর্তনাদ মহাকশে ফুরোয়নি আজও কি?
ওই
চোখ, জোড়া নক্ষত্র ওই যে— কী দেখছে
কাঠের
বাক্স একটি আর তাতে অমরত্বের আপেল
মৃত্যুর
পরেও লোভ!
নাকি
বাক্স রয়েছে যাঁর হেফাজতে
সেই
দেবী, কাব্যদেবতার বউ— আরও লোভনীয়
হয়তো
কবিতা
মৃত্যুর
পরেই পড়া যায় ঠিকমতো
ও
তাঁর আপেলগুলি
শব্দের
বাগানে
ȫ
অথচ
কবিত্ব মানে রক্তের মদ
দুই
বামন বানিয়েছিল জ্ঞানী দেবতাকে ঠকিয়ে হত্যা করে
তাঁর রক্ত দিয়ে
দুটি
ভাণ্ড আর একটি কেটলিতে ভরা
তারপর
নৌযাত্রা, হিংসা ও খুন
প্রতিশোধ,
কন্যার জিম্মায় পানীয় লুকোনো
তারপর
ভালোবাসা, মানে মিথ্যে কথা
চুম্বন
এবং সংগমের পর
লুণ্ঠন (সেই রীতি আজও চলেছে)
অথচ
কবিত্ব মানে দুটি ভাণ্ড আর একটি কেটলি
চালাকি,
ছলনা, হিংসা, কাম— সমস্ত পান করে
আদিপিতা বমি করেছেন
আজও
কবির রক্তে মদ, প্রতারণা, কান্না, অবিশ্বাস
দুটি
ভাণ্ড আর একটি কেটলিতে ভরা
আমরা অক্ষরবৃত্তে তিনমাত্রা ধরি
🤍সুন্দর
ReplyDeleteঅপূর্ব
ReplyDelete