সঞ্চালিকা আচার্য-র কবিতা
শুকপঙ্খী
১।
ভিত কি আছে তবে অন্য কোথাও? তারই উত্তরাধিকার আমাকে পৃথক রাখছে?
আমার শব্দের পুঁজ আর তোমাদের সনেটগুলির মধ্যে সীমা টানা, একটা প্যারাডক্স,
তার বিদ্রূপ আমায় ভুলতে দিচ্ছে না পরবাস।
তবু আমি আয়ত্ত করছি না আদব,
কেননা আমাদের কোন ভাগাভাগি পরিভাষা নেই।
কূলকিনারা নেই,
শুধু জল বুকের ভেতর,
ময়ূর ময়ূর, তোমাদের মাইক থেকে দূরতমে আমি।
২।
"মেঘবরণ চুল, কুঁচবরণ কন্যা" এইটুকু আণ্ডারলাইনে।
অথচ সহজ করে নিতে পারছি না। শব্দের মধ্যে ঢুকে পড়ছে বিদ্বেষ।
"সুপুত্রা সুভগাসতি" বলে এজন্মে সেই তো শেকলই দিয়েছ
সোনায় বাঁধানো নোয়া ড্রয়ারে রেখেছি।
দেহে গরম ছাই, বিস্ময় ও বিচ্ছিন্নতাকে ছাড়িয়ে
পাথর এবং কাগজ জুড়ে জুড়ে নৌকো,
ও বাঁদী, ও আমার ঘুঁটেকুড়ানী
আয় লো, সঙ্কেতগুলো বুঝে এইসব অসার দিন শেষ করি।
৩।
তারপর সব হঠাৎ উধাও হলে মুঠোর ভেতর মন্ত্রের জাইগোট,
আলো দেয় পঙ্ক্তির সারি।
সেইসব অনুচ্চার্য শিখা জানে আমাদের আকস্মিক উড়ান সম্ভব।
বাতাসেই ভেসে থাকতে পারতাম, অস্বীকৃত
কিংবা বীভৎস ক্র্যাশে ভেঙে পড়তাম ভুল জায়গায়।
কিন্তু না,
সমুদ্রের দিকে চলে গ্যাছে ফুটস্টেপস।
ঠোঁট শাদা, শাদা জিভ, সনেটের বাঁকে বিলাপ উড়ছে।
উড়ছে "এখন তুমি কার?"
কলাবতী রাজকন্যাকে ছুঁয়ে আজও এই নদী বইছে নিঃশর্ত
দয়ালু কৌতুকে বদলায় সময়, এখন আমি শুধুই আমার।
শুধু আমার।