সিদ্ধার্থ দাস-এর কবিতা
উদয়ভানু
১.
ভালোবাসা
পেলে হৃদয়সঙ্গী ফকির হবে—এমনটাই জানি। ছায়া ছুটছে মানুষের পিছনে। আমরাও ছুটছি ছায়ার
পিছনে তুঙ্গে মনোবল। বাস্তবিক মিলনে কখনো থেমে থাকে না নটরাজ। সূর্যাস্তে গর্ভপাতের
ছায়া। অনুভূতি ভিন্ন কেউ ট্যাগ করবেন না নন্দনকানন। সম্পর্কক্রান্তি প্রদীপের ব্যাকুলতা
চোখে সন্ধে নেমেছে উত্তরণের শিখায়, চন্দ্রলেখা যেমন নির্ভীক।
২.
রুটি
রুজি মিলিয়ে সংসার। রাজরাজাদের সন্তাপ শেষ হলে মরে অন্যত্র, অধিকাংশ কোকিলের ডিম। নিজের
প্রতিবিম্ব হাজার দেখবে বলে রাজা আয়না ভেঙে ফেলেছিল। একটা টুকরো ছিটকে পড়ে আছে আজও,
উজ্জ্বল মূল্যবোধ। কাকে নিয়ে বাঁচবে সে প্রশ্ন রেখাপাত! বিলক্ষণ জানি, তুমিও ভালো নেই,
জ্যোৎস্না নামাঙ্কিত সন্ধ্যায় উদ্যম পারিপার্শ্বিক।
সাম্প্রতিক উস্কানিমূলক
১.
কার
ছবি জানি না।
সম্ভবত
নিজেরই
ক্রীড়নক
ছেলেবেলা।
যা
চেয়েছে, দিইনি
রাস্তাতেই
শেখা,
অধিকাংশ
অজানা।
সংস্কার
নিয়ে বাঁচে
আর
একবার ভাবো
যদি
কিছু করা যায়।
যুদ্ধ
অপরিবর্তনীয়
বাড়তি
কুটিরশিল্প
চাকরি
আর হবে না!
২.
যা
ভাবলে অস্পষ্ট
যদি
শুদ্ধ উচ্চারণে
মল্লার
অনুরাগ বৃষ্টি
তিওর
বশংবদ ভাত
নেড়েচেড়ে
দেখাও
কাঁকর
কোথায়!
হাঁড়িতে
ফুটছে সের
ধান
জমানো বারান্দা
তুঘলক
পর্দা ওঠে!
কান্না
মুখে মানায় না
অভাবে
স্রোতস্বিনী
চিরকাল
ব্যঞ্জ ফাটায়।
৩.
সহজপ্রাপ্য
সৃষ্টি জল
আকাশ
ভরা পাথেয়
ভার্সান
এগিয়ে চলে।
অনেকে
না জানলেও
অধিকাংশ
জানে
ভাবাবেগ
নদী বর্ণিত।
চিহ্নিত
সময়ের অংশ
রাজত্বপাট
গুটিয়ে
বেনজির
বিরহপঞ্জী।
সভ্যতা
আদিম ভাবতে
কার
না ভালো লাগে
তন্মাত্র
সততা অনুপ্রাণিত!
মাতৃভূমি
লোকাল
কতটা
লুকিয়ে রাখতে পারলে নিজেকে বোঝাও ন্যায়রত্ন!
বিরিয়ানির
চাল সিদ্ধ হতে দম লাগে, অঙ্গার হাঁড়ির ঢাকনায় কলরোল।
ছিটেবেড়ায়
গোবর নিকনো, নয়তো আমা ধরে যেত পুরো দেয়াল।
বলেছে
সন্ধি করে নাও। না-হলে জাপটে ধরো লেবু চোর, কিছুতে ছাড়বে না!
বালি
খসে যেতে পরিতাপের অন্ত নেই।
সময়মতো
সংসারী না হলে ছেলেরা শনি, মেয়েরা খনি হয়ে ওঠে।
বাধ্য
কাউকে বাঁচতে দেয় না।
এমত
সম্ভাবনাময়। ফুল ফল পাতার কিরণে—বিকাশ অপরিহার্য।
No comments:
Post a Comment