সন্দীপন দাসের তিনটি কবিতা
১. সম্রাজ্ঞী
সকাল
মৃত্যু লেখেনি, লিখেছে বিকেল
সেই
বিকেল গাছেদের শরীর থেকে খুলে
নেওয়া
পোশাক... ঝুঁকে পড়া সাঁকো
ঘোলা
জল ছুঁয়ে রেখে যাওয়া এলোমেলো আলো
আদিদেবতার
আদিম রহস্য...
প্রতিটি
সন্ধেই আহত ঘোড়া; অল্প আলোতে গলিতে
গলিতে
গান ফেলে রাখে কারা?
মুখ
লুকিয়ে কাঁদে সন্ধেমণি ফুল, মাটির খিদে...
একা
হয়ে আসছে নিয়ন আলো
একা
হয়ে যাচ্ছে উজান-ভাঁটির দেশ
দাঁড়িয়ে
থাকা আস্তাবল, ধানখেত, পথের পোস্টার শিশুটিও...
তুমি
মৃত্যু নিও না, আলোটুকু নাও
কারণ তোমাকে বোঝার মতো
সন্ধে
এখনও নামেনি...
২. আলো
একটা
অসুখ তোমায় সেই থেকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে
অপ্রিয়
জন্মের মতো, অশান্ত আগুনের মতো...
তবু
তুমি খুঁজে চলেছ সন্তাপহীন আলো, নীরব অভিমান, একটা আস্ত বর্ষার ছাদ....
অবেলায়
আঁকড়ে ধরতে চাইছ মৌর্য সম্রাটের অহংবোধও...
কিন্তু
তবু তোমার মুখোশ খসে যাচ্ছে;
খসে
যাচ্ছে ওই অপ্রিয় জন্মের জড়ুলও...
#
একটা
অসুখ তোমায় সেই থেকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে
হলুদ
নদীর মতো, অস্থির বাংলা ভাষার মতো....
৩. মোহ
অপেক্ষার
ওপারে তোমার জলপাই রঙের বাড়ি।
দূর
থেকে দ্যাখা যায়...
কারা
যেন চুপিচুপি ভোররাতে তোমার বালিশের
তলায়
লুকিয়ে রেখে যায় আলোফুল...
তুমি
আয়নায় চুল আঁচড়াও
আর
আড়চোখে দ্যাখো কিভাবে বালিশের তলা
থেকে
উঠে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বী শীতকাল....!
No comments:
Post a Comment