শঙ্খজিৎ দে'র সিরিজ কবিতা
বাজারীকাকের
সঙ্গে কথোপকথন
কেউ
দাঁড়াবে। চৌচির হয়ে যাবে সময়।
বুনো
ঘাসফুল লতাপাতা নিয়ে—
একটা
লাইব্রেরি বেঁচে থাকবে: ধুকপুক, ধুকপুক
ছেলেটা
দৌড়ে যাবে অমৃতস্তম্ভ খুঁজতে।
প্রেম—ছোঁ
মেরে নিয়ে যাবে বাজারী কাক!
নদীর
ভিতরে অসংখ্য সীমানা...
সীমানা
পেরোতে পেরোতে পাখিরা নিয়ে যাবে আশ্চর্য সব ম্যাজিকের মতো বুক
ছেলেটা
দৌড়ে দৌড়ে যাবে।
রান্নার
উনুনে পুড়ে যাবে যৌবনের কবিতা।
তারাভরা
নিঃসঙ্গতার ভিতর—
একটা
বিকেল, বর্ষা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে উঠোনে।
২.
ফুলগুলো
সব অন্ধকার হয়ে আছে
জানি
মিথ্যে এ আতরদান—
আততায়ীর
কোলে মাথা রেখেছি বারংবার;
জীবনস্তোত্র
ভুলে যেতে যেতে
পথহীন
ক্রমাগত রৌদ্রজ্জ্বল সন্ধ্যায়।
ফিরি
এ বন্ধ্যা নক্ষত্রের কাছে—
আলো
নেই, আশ্চর্য নেই, ঠিক নেই, ভুল নেই
এক
একটা বিড়ালের শীৎকার শুনে
ভাবি
অমঙ্গল ঘুরপাক খাচ্ছে পথে
মিছিলের
শব্দ আসে ভোরে
দূরন্ত
আগুনের নদী, শুক্রগ্রহ জ্বলজ্বল করে দ্রুত।
জানি
এ প্রত্যন্ত বাসনা, পৃথিবীকে ঘিরে আছে ক্ষুধা-মাংস-লালা
সমস্ত
প্রেমিকাই সেখানে নিতান্ত ফ্যাকাশে অবয়ব।
জানি
এ সীমান্তরেখাজল
আসা
হবে না কোনোদিন ছুঁতে
যাও, যাও
পৃথিবীর কাছে
ফণা
তুলে দাঁড়িয়ে আছে জীবন।
৩.
উড়ে
যাচ্ছে, সাংকেতিক—
তরুণীর
চুল।
একবার
আলো-বাতাসের মতো
বাতাসের
কাছে খুলে রাখি আগুনের ডানা,
ডানাজোড়া
ভরে আছে মা-র যন্ত্রণা,
ভরে
আছে নিদ্রিত বাবার ক্যানসার
ভরে
আছে ভাদ্র দুপুরের ঘুম,
আমাদের
বাড়িটির কাছে, বাড়িটির গায়ে
পুরোনো
বর্ষাকাল— শ্যাওলার গায়ে জল থই থই
উড়ে
যাচ্ছে তরুণীর চুল
কাছে
গিয়ে ডাকাডাকি করি
অর্জুনের, পলাশের, কদম্ব, আকন্দ
ছায়ায়
একদিন
দেখা হবে। একদিন, অনন্ত দুপুর...
No comments:
Post a Comment