সব্যসাচী হাজরা'র কবিতা
মানুষ-১১
শিক্ষার খরা এই খোলাটোলে
মানুষ তবুও খিদের জন্য বাঁকে, টাল খায় আবেগে
দেহতলের ঘুম
আজ মিসেস নি গৃহজাত গলা থেকে
খুলে
নেয় গান
মহাচিৎ গ্রহ আগ্রহে ফেরি করা মুখ
আমরাও পড়ি
মনু উচ্চতায়
ধর্মটোলের মাথাচিবিয়ে খাচ্ছে মুখ
মুখোশকে শাসন করি
বঙ্গে
বাংলায়...
মানুষ-১২
ব্রহ্মপাড়ে দাঁড়িয়ে ভাবছেন ঘুম
কোনাগমন মানুষের মন গোনাতে যাই ম্রিয়গানে যাই
ভাবতেই তথাহত
বাজিয়ে নিচ্ছেন ভোট, ভাতের মানুষ মুগ্ধ টেবিলে যায়
কাঠের জন্য গুনগুন করে এস্রাজ
দরাজ থেকে কেটে আনা গলা
ক্লিক করুন
রক্ত ভরুন
অন্য
মানুষে…
মানুষ-১৩
মন্তব্য করুন নিজের মানুষে
দাঁতের জন্য খোকা খুকুর প্যাঁচা লোহা
দেখে কোনাকুনি ওড়ে
-না পড়ে +হ্যাঁ
বনজ যোগে সবুজ প্রণাম
শ্রদ্ধা জানাই নীলিমাকে
স্নেহের নীল ওগো তথাগত ত দেখে থ
ভয়ের জন্য পাতাল খুলে রাখি
প্রত্নতালে নৃতালে ঘুরছে সন্তান
মতামত দিচ্ছি
হাড় হাতে হরকরায়…
মানুষই উপজীব্য তখন তখন দেখে নিতে হবে স্যসাচীর কলমকে যার যাওয়া সার চলন দুদিকেই এফোঁড় ওফোঁড় করে ছাড়বে। সমাজের রসাতলে যাওয়া শিক্ষা আর দেহের অতলে যাওয়া সভ্যসমাজের ঘুম। কলম নিশপিশ করে।দরাজ থেকে কেটে আনা গলা। কণ্ঠ কেউ আর জোরে ছাড়ার থাকল না। মুখ মুখোশের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুখোশ জিতে যাচ্ছে। হাড় হাতে হরকরায়। হ্যাঁ মিডিয়ার নিউজপেপার এর হাড় কঠিন হাত। চাবি ঘোরালে চিন্তামনি দৌড়বে। মিনে করা ভাষায় রঙ জব্বর লেগেছে।
ReplyDeleteকাঠের জন্য গুনগুন করে এস্রাজ---
ReplyDeleteবনজ যোগে সবুজ প্রণাম- ইত্যাদি অনেক সতেজ
তোমার ঘোরাফেরা। মুগ্ধ হয়ে যাই।
সব্য কমেন্ট করলাম। unknown কেন লিখলো বুঝলাম না--- যাদবদা
ReplyDelete'মানুষ তবুও খিদের জন্য বাঁকে'। কী অসাধারণ ভাবনা সব্য'দা, মারীর এ দুঃসময়ে এপারে লকডাউন চলছে। আর ভাবছি- আপনার কবিতার পঙক্তিটা 'মানুষ তবুও খিদের জন্য বাঁকে'। এর বেশি কিছু আর কি বলবো সব্য'দা। অসাধারণ লাগলো কবিতাগুলো...
ReplyDeleteকাঠের জন্য গুন গুন করে এস্রাজ
ReplyDeleteওহো কি লাইন।
কি দারুন লাইন
এই লাইন টা আঁকরে পরে থাকতে চাই এখন কিছুক্ষন
কিছু কিছু খিদে রোদ খেয়ে ফেলে, রাজনৈতিক পরাবাস্তব গাথা, ভালো লাগলো সব্য দা!
ReplyDeleteতুমি আবার একটা বাঁকে দাঁড়িয়ে আছো | তোমার কবিতার মধ্যমা এখন আরও ঋদ্ধ , অভিজ্ঞতা আরও ধারালো এবং ভাবনারা আরও অধিবাস্তবতার ব্যাপ্তি নিয়ে বিস্তৃত | ,অনেক অবিস্মরণীয় পংক্তি আছে কিন্তু সেগুলো সামগ্রিক কবিতার মধ্যে স্থিত কখনোই মাত্রাতিরিক্ত নয় | মানুষ নাকি এ প্রশ্ন নিজেকে করলে অনেক সুদূরপ্রসারী প্রাণী সমকালীন বাস্তবতায় নিজেকে আয়নায় দেখতে বলে | এটাই এ লেখার চাবুক ۔۔۔বাহ্
ReplyDeleteপ্রদীপদা ঠিকই বলেছেন। এই লেখাগুলো আরও একটা বাঁকের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাক্য নির্মিত হয়ে পরক্ষণেই ভেঙে যাচ্ছে। কখনও সামনের দিকে কখনও-বা নিজের দিকে ঘুরে যাচ্ছে লেন্স। খুব ভালো লাগলো
ReplyDeleteদরাজ থেকে কেটে আনা গলা
ReplyDeleteক্লিক করুন
রক্ত ভরুন
অন্য মানুষে…/মহাচিৎ গ্রহ আগ্রহে ফেরি করা মুখ/প্রত্নতালে নৃতালে ঘুরছে সন্তান
মতামত দিচ্ছি
হাড় হাতে হরকরায়… আহ! অসম্ভব উচ্চারণ! উস্কে দিলো আরও আরও চেতনার ধী! অনন্যমাত্রার ইমেজ!মন ভরে গ্যালো
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteএইসব। সব্য লেখতেছে। ভাষার উপ্রে দাঁড়ায় থাইকা লেখতেছে না। বরং সব্যর বাকচিতের কায়দায় ভাষা নিজেই নিজের ব্যাকরণরে আলগা কইরা দিতেছে। আলগা কইরা দিতাছে, কারণ ভাষার ভিত্রে আটকাইয়া গিয়া অবজারভিশনরে শেনসেশনে ট্রান্সফার করা টাফ হয়া যাইতেছে। এই অবস্থা খালাস করবার প্রেসারে ভাষা কেমনে কেমনে আলগা হইতেছে, ভাষা নিজেই নিজের ধরাবাঁধা ব্যাকরণরে পিছে ফালায় দিতেছে। আর এই রকম আলগা করা ভাষার ভিত্রে তৈয়ার হইতেছে অবলোকন। এই অবলোকন হইতে পারে আরকিটাইপ, যেইটা কিনা লেখক দেখাইতে চাইতেছে। এই অবলোকনপ্রেষণা হইল ভাষিক শিল্প। তাইলে কেমনে কী, ভাষিক ব্যাকরণ আপনেরে দেখতে বাধা দিতেছে, সুতরাং আপনে ভাষিক ব্যাকরণরে আলগা করতেছেন। নিজেরে যেইভাবে দেখাইতে চাইতেছেন যেইভাবে প্রকাশ করতে টাটাইতেছেন, সেইভাবে নিজেরে টাইনা বাইর করতে পারতেছেন না, এই না পারার ব্যর্থতা হইল শিল্পের বিষ। এই বিষ যখন ফাইট্টা বিষফোড়া হয় তখন এইগুলা হয়া যাইতে পারে শিল্প, এইগুলা নিয়া আপনে আনহ্যাপি ফিল করতে পারেন, তারপরও এইগুলা শিল্পে নোতুন ব্যাকরণের জন্ম দিবার পারে। সব্য ভাষা-আশ্রিত কবিতা লেখে না বরং কবিতার মধ্য দিয়া নিজের মতো কইরা ভাষার জন্ম দেয়, প্রয়োজনে সিজার করতেও সাহসী হয়া ওঠে। এই যে কবিতার প্রসবক্ষমতা, প্রয়োজনে সিজারক্ষমতা যেইটা কিনা ভাষা নিজেই করতে বাধ্য হইতেছে, এইগুলা আলটিমেটলি সৃজনযোগ্যতা, যেইটা না থাকলে শিল্পী হওন যায় না। এইটারে কয় চিন্তাকাঠামোর ভিত্রে শেনসেশন তৈয়ার কইরা দেওয়ার ক্ষমতা। এই ক্ষমতার ভিত্রে জানালা থাকতে হয়, যেই জানালা দিয়া আমরা যেইভাবে মন্চায় সেইভাবে তাকায়া মজা নিবার পারি। যেই জানালাটা হইতে পারে কবিতার নিজের চোখ, দেখনের পাওয়ার, যেইটা কিনা শিল্পের স্বভাব। এই রকম স্বভাব থাইকা তৈয়ার হইবার পারে শিল্পের অপ্রচল ব্যাকরণ। আলটিমেটলি শিল্পের কোন ব্যাকরণ নাই। এই জায়গায় সব্য বুঝবান। যার কারণে সব্যর প্রকাশক্ষমতা ভাষার ভিত্রে আটকায়া থাকে না, বরং ভাষা নিজেই নিজের চেহারায় প্রকাশ পাইতে চায়, প্রকাশ পাইতে চায় সব্যর বয়ানকৌশলের চোখমুখ দিয়া। তো এইভাবে বেটার শেনসেশন দেন গ্রেট অবজারভেশন। দেন, ড্রাগ এটাক ফিল করতেছি। ভাষা হইতেছে চূড়ান্ত ড্রাগ। সেনশেসনের জায়গাটা টিউন করতে না পারলে আমি অ্যাডাকটেড হইতে ব্যর্থ। আপনি তো নির্জলা পানি, আপনার অ্যাডাকশন নাও থাকবার পারে, মাতাল হইবার ক্ষমতা না থাকলে এইগুলা কামড়ানোর কাম নাই, অ্যাডাকশনের বিপক্ষে বমন হইবার পারে, সুবোধদের ক্ষেত্রে যেমন যেমন হয়া থাকে।
ReplyDeleteপ্রযুক্তির উপস্থিতি অনেক ভালো লাগল
ReplyDeleteসব্যসাচীকে ধারণ করার মতো খুলি আমারটা নয়। তবুও বলছি-অসাধারণ। আমার বাংলাদেশের প্রিয় কবি শিমূল মাহমুদের বয়ানের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে এবং সহমতে সব্যসাচীকে অভিনন্দিত করছি।
ReplyDelete