লেখা পাঠান আমাদের chayarodpatrika@gmail.com

Tuesday, July 13, 2021

রুবি রায়, ১৬

রুবি রায়ের কবিতা

 

১ । Netflix-এ সূর্যের তীর্যক রশ্মি

 

দারিদ্র্যের স্পেস বার না থাকলে Netflix-এ সূর্যরশ্মি তীর্যক ভাবে পড়ে। 
কেলভিন স্কেলে মা অন্নপূর্ণাকে বসানোর চেষ্টা হয়। 
ময়ূর পাখার উজালা স্বপ্নে যদি সোডা না পড়ে 
তবে তা কোনো কাজের নয়।

       ঠেক থেকে ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে বুঝি

 

ফেলে দেওয়া ফাউনটেনের মুখ খুলে যায়― 
যখন প্রোটেকশন পরিহিত Left over স্মৃতি নানা ফ্লেভারে মিশে ধাক্কা মারে।

আর শূন্য পাকস্থলি দিগন্তরেখায় মিশলে, ইন্টারভেলে― 
পিল বুঝতে পারে এক বঙ্গজননীর পরাধীনতা।

 

২ । দিওয়ানির হাতে কলম 

 

বাউলগান হতে পারলে, ফকিরের নগ্ন গলা থেকে বেরিয়ে 
একতারার সূক্ষ্মকোণী তারে নিজেকে চিরে ফেলে পরিশ্রমের দাম দিতে পারতাম।

কোনো আমিষ-নিরামিশ থাকত না। 

নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌছানোর চিন্তাও নোটিফিকেশন পেত না।

    কিন্তু মনের ট্যানিং কলঙ্ক ট্রান্সফার হল মধ্যমগ্রাম লোকালে 

আর গ্লিসারিন মাখা শরীরে চিপকে গেল।

 

ঠিক বছরের ডাইরিতে লিখলেই কি স্বপ্ন মিলে যায়? 

নারিশড দামোদর তার দুঃখ-হাহাকার প্রকাশ করে... 
নতুবা আনন্দে চিয়ার্স করে― সেটা বলতে পারে গ্রাম্য স্কুলবাড়ি।

ফুলকো চন্দ্রমল্লিকার বুক থেকে 

ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত চুরি করে ঘুমাতে যাই। 
আমার লেবু জলের গ্লাস থেকে মধু তোলে মৌমাছি।

 

    কত নষ্ট হয়ে যাওয়া ডিম্বানু খিস্তি দেয় 

তাদের একটা প্রেমিক দিতে পারিনি বলে।

 

 

৩ । হবু কবিতা 

 

XYZ কোনো চলের চলাচল নেই। 

বর কখনো ধ্রুবক হয় না, তবু চেষ্টার ত্রুটি রাখতে নেই Romantic Dinner Plate-এ।

দিব্যি গিলে লিখেছিলাম একটি কবিতা।

দ্রাঘিমাকে সাক্ষ্মী রেখে সেনসিটিভ আদর চুঁইয়েছিল ফেব্রুয়ারির ছাপা কোনো এক পাতায়।

 ঠোট রপ্তানির গল্প শুকেছিল গরম বিরিয়ানির গন্ধ

এইরকম দুটো প্রতিসাম্য মানুষের দিকে চেঁয়ে থাকে বংশপ্রদীপ।

বুকের হাড় গোনা যায় এমন এক নারকেল দড়ি থেকে 

আমার যশোদা মা ঝোলে... আর ভাবে, 
সরল অনুপাতে থাকতে হলে স্বামীর এঁটো খাওয়া দরকার।

         কলম থেমে শকুন্তলা দুপুরে হবু কবিতা পলাশী চোখে চেঁয়ে থাকে।

No comments:

Post a Comment