সন্দীপন দাসের কবিতা
জ্যা
আমাদের কোনো আকাশ নেই
মা সেই থেকে কেবল অনাদির কাছে
হাত পেতে বসে আছেন তো বসে আছেন
তবু হাতে মিলছে না আগামী দিনের রসদ
আমাদের কোনো আলো নেই
তবু আলো দ্যাখার আকুলতা আছে...
যে আকুলতা বুকে চেপে প্রিয় গাছগুলিকে হাঁটাতে
হাঁটাতে
বাবা মাথা নিঁচু করে চলে যান গোয়ালঘরের দিকে...
#
সন্ধে নামে... মা উঠে পড়েন
জীবন সেদ্ধ করতে করতে আনমনা হয়ে
তাকিয়ে থাকেন হারানো পথের মতই...
#
অদূরে মায়াবী তূণ লুকিয়ে অপেক্ষা করো তুমি...
#
ডিরেক্টরের মনকেমন হয়...
সমুদ্রপার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
একলা টুপি, মায়ের অপেক্ষাতুর চোখ, বাবার হেরে যাওয়া
কিংবা আবছা আলোর গন্ধ...
#
আমাদের কোনো পাখিধরা খাঁচা নেই
কেবল একটা ঝিমধরা পাখি আছে
প্রতিদিন ভোর হওয়ার সাথে-সাথেই
যার দেহ থেকে খসে পড়ে এক-একটা নেশাতুর পালক...
দ্য প্রোটাগনিস্ট
তোমার অপেক্ষায় আলো ছুঁয়ে থাকি...
#
রাত নামে...
আলনায় বাবার লুকানো ঝাঁপি থেকে লাফ দিয়ে বেরোয়
একটা সাদা বেড়াল
মিউ মিউ করতে করতে জীবন শোঁকে আনাচ-কানাচ
রাতের ভাত চাপিয়ে ঝিমটি কাটেন মা
আমার কেমন যেন শীত শীত করে...
তাই দেখে বিড়ালটার খুব অভিমান হয়
ও লেজ উঁচু করে ভাতের হাঁড়ির সামনে
মা আধপোড়া কাঠ নিয়ে ছুটে যান...
ভাত তখনও ফোটে...
সাদা ধোঁয়া থেকে বার হয়ে আসে ক্ষুধার্ত বাঘিনী
আমার ঘেঁটি ধরে নিয়ে যায় আলোর সাম্রাজ্যে
আমার চোখে-মুখে ধাঁধা লেগে যায়
আমি রা কাটতে পারি না... মুখ থুবড়ে পড়ি
তাই দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ো তুমি
ভাবো, এই বুঝি নির্বাণ পেয়ে গেলে...
#
ভোর রাত হয়ে আসে
মুখে রক্ত নিয়ে আমি এখন খিদেপেটে শুধু মা'কে ছুঁয়ে থাকি...
রাহী
এ ভোর অভিমানী... তোমার অনেক ভাষা।
আমি চেয়েও ফিরে পাইনি সেই সব শব্দদের
যারা বারবার নিজেদের ঈশ্বর বলে দাবি করত...
#
একা মেঘ তখন শান্ত নদীতে ভেসে যায়...
#
ঘরফেরত পাখিদের ডানা জুড়ে তোমার সাজিয়ে দেওয়া
অভিমান, আনমনা সন্ধে...
পলকে আলো সাজাতে গিয়ে দেখি
মুখ লুকিয়ে একা একা কাঁদছে চেনা ডাকনামগুলো...
বন্ধুরাও ছোঁয়াচে কান্না ফেলে যায় আড়ালে...
#
এ সকাল বড় মনখারাপের... তোমার অনেক কথা।
আমি নীরবে কান্না মুছে তবু ফিরে পাইনি
অভিমানের বাংলা ভাষা...
No comments:
Post a Comment