আমিনা তাবাসসুম-এর কবিতা
নিস্তব্ধ শহরের রানি
দুঃখের
সমস্ত চেতনা টুকরো টুকরো করে চিবিয়ে খেলে
সালোকসংশ্লেষ
আর রসায়নে কোনো পরিবর্তন হবে কি জানা নেই
কিন্তু
এক বুক পাথর বয়ে নিয়ে একটা সাম্রাজ্য চালনা করতে
অনেক
দম লাগে বস!
বিষাদের
পরতে পরতে সিগারেটের উড়ন্ত ধোঁয়া সমানুপাতিক...
টমেটো
সসে চিনির বিকল্প নেই জানলেও
বিশ্রী
শব্দে ডেকে ওঠে সকালের কাক,
তৈরি
হয় নির্জন কারাগারে চিৎকারের বানভাসি বন্যা।
এখন
আমি নিস্তব্ধ শহরের রানি
রহস্যের
দুনিয়ায় যতরকম পাপ থাকে
আমি
আত্মস্থ করি
যতক্ষণ
না শেষ হয়ে আসে আমার অন্তিম নিঃশ্বাস।
তারপর
একদিন মোরগের ডাকে চোখ না খুলে
পাড়ি
দেবো, বিষাদের টুঁটি টিপে নিয়ে
বহু
বহু প্রজন্মের আদিম বিছানার গর্ভে।
বাইশ থেকে পনেরো
অপেক্ষা
শেষের গন্ধ কিছু অন্যরকম ছিল
অনুভব
বুঝতে দেয় না কষ্টের মহড়া
সামনে
বোধহয় আলো অন্ধকারের লুকোচুরি আছে
তাই
শ্বাস বদলে খুশি আসে অথবা কোনো স্বপ্ন...
জোৎস্নার
পর চাঁদ খুঁজে নেয় প্রেম
কোনো
অবসর অথবা নতুন নিয়মের ভাঁজ থেকে,
এদিকে
শ্রাবণে বসন্তের ডাক শুনছি আমি
অন্যথায়
উজাড় হওয়ার অভিসার
ওত
পাতে কাব্যের শহরে।
বাইশ
থেকে পনের...
হিসেব
গোলমেলে বেশ
আমি পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছি
অপেক্ষা
আমার দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে অবিরত।
নির্জন শহরের চিলেকোঠায়
অগোছালো
কাব্যের গণ্ডি পেরিয়ে এসে খুঁজি অক্ষর
মেঝের
ওপর ছেড়া কাগজের স্তূপ পাশে রেখে
দৃষ্টি
ফেরায় আগামীর বাক্য প্রসবে
এখন
একটা ভালো কবিতার জন্য এ শহর তল্লাশি করতে হবে
বৃষ্টির
মুছে যাওয়া দাগের থেকে
কিংবা
আবহাওয়ার মসৃণ ত্বক বেছে নিয়ে।
নির্জন
অন্ধকারের চিলেকোঠায়
যে
অতীত লেখা আছে সমুদ্রের ভাঁজে ভাঁজে
তাতে
এ খোলা আকাশ আর ওই বিষন্ন পেঁচাদের রাজা
জেনে
গেছে অবসাদের ভাষা।
এক
টুকরো চামড়ার নীচে ফুরিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য্য
কোনো
কাব্য লেখেনি কখনও।
তবু
সকাল হলে ডেকে ওঠে প্রাচীন কবিতা
জ্বলন্ত
সিগারেট পোড়া প্রাণের উচ্ছ্বাস
এই
রাত লিখবে আবারও
গহন
কোনো মেহগনির গহ্বরে
কিংবা
সময়ের অনিশ্চিত রাজসভায়।
No comments:
Post a Comment