শুভ্রনীল চক্রবর্তীর কবিতা
তুমি টের পাওনা
মৃত
ঠোঁট কথা বললে
পালকের ওম জেগে ওঠে
পাইনের
খাজে লেগে থাকে স্বপ্ন
পাহারের ভার তীর্যক পথে
তুমি
টের পাওনা
কখন
বরফ হয়ে যাই স্নানের জলে
নাভিপদ্মের আলিঙ্গনে
স্রোত মিশে যায় বিমোহনে
শেষ
দ্রাঘিমায় দাঁড়িয়ে
কোনো না ফেরা নাবিক
তুমি
টের পাওনা
কখন
তারা হয়ে যায় সূর্যের অন্তরালে
রক্ত ট্রোল হচ্ছে
একটার
পর একটা রক্ত রোল উঠছে
অনিচ্ছায় মিশে যাচ্ছে চাকার পাতে
গুটিকয়েক
অন্ধকার, ভন্ড আলো সেজে
পথ দেখাচ্ছে --> সোনার মুকুট --> খলনায়ক
রক্তের
রোল উঠছে তোমার জলের গ্লাসে
তবু শ্বাস বায়ু বিক্রি হচ্ছে রাষ্ট্রের দেওয়ালে
তুমি কিনে নিচ্ছ, মেনে নিচ্ছ সব
ভালো থাকার অজুহাতে(?)
একটার
পর একটা রক্তের রোল উঠছে
রাজার চাকা মেতে উঠছে
ভগবান হওয়ার খেলায়
নৈঃশব্দ্যের কোনো
লোভ হয় না
নির্লোভ
জিহ্বে লেগে থাকে আলগোছে
ঝড়ের
আশ্রয়ে ভেঙে পড়ে শিকার
তুমি
জানো না কত দেহ মিশে গেলে মাটিতে
অমাবস্যা
মেখে নেয় চাঁদের অন্ধকার।
শিথিলতা
পরিমিত জরায়ুর মন্থনে
হেসে
যায় অলিখিত আদর
তুমি
জানো না কতটা শক্ত হতে পারলে
মাতৃ
দুগ্ধে মেশে সন্তানের কবর।
নৈঃশব্দের
কাঠ ভোরে আজানের শব্দ মাখে বাতাস
স্মৃতি
যত ঝির ঝিরে বৃষ্টির
তুমি
জানো না কত রাত না খেলে
শৈশব
জলাঞ্জলি দেয় কয়লার হাত।
নিষিক্ত
পরিবেশের অবগাহন হ্রদে
নিশ্বাস
গোনে শেষ হৃদস্পন্দন
তুমি
জানো না কত নক্ষত্র মরলে পড়ে
সূর্য
মেখে নেয় শেষ রক্ত চন্দন।
No comments:
Post a Comment